নিজস্ব প্রতিনিধি:
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে নির্ধারণ করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে লোকসানের অজুহাতে খাগড়াছড়িতে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খাগড়াছড়ি মাংস বাজারে গেলে সরজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে পোষাতে পারছেন না তারা। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।
গতকাল ১৮ মার্চ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি বাজারে হাড্ডিসহ প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা এবং হাড্ডিছাড়া বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা করে। এদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্য হলো প্রতি কেজি ৬৬৪.৩৯ টাকা। আর গতকাল ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকা দরে। কৃষি বিপণনের নির্ধারণ করা মূল্য হচ্ছে ১৭৫.৩০ টাকা করে।
খাগড়াছড়ি মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আলী বলেন, ‘সরকার গরুর মাংস বিক্রি করার জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে তাতে আমাদের লোকসান হবে। লোকসান দিয়ে আমরা মাংস বিক্রি করতে পারবোনা। তাই মাংস বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে।’
ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী হাবিব খাঁন বলেন, ‘আমরা সরকারের বেধে দেওয়া মূল্যে লোকসানের মুখে পড়ব। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।’
এদিকে বাজারে মাংস সহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে এসে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ভোক্তারা। গরুর মাংস ক্রয় করতে আসা মো. ওসমান বলেন, ‘গতকালও মাংসের দোকান খোলা ছিল। আজকে মাংস নিতে এসে দেখি কেউ মাংস বিক্রি করছেনা। ব্রয়লার মুরগি কিনতে গিয়ে দেখি তারাও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছেনা। এতে করে আমরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছি। এভাবে আমাদের মতো গরীব মানুষদের হয়রানি করা হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।
খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সে মূল্য অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছেনা। তাদের নাকি লোকসান হচ্ছে। এজন্য গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগটা ভাল কিন্তু ব্যবসায়ীরা লোকসানের অজুহাতে তা মানছেনা। এতে করে ভোক্তারা বাজারে এসে বিপাকে পড়ছেন। এর সুরাহা হওয়া উচিত।’